মোদির নামে আপত্তিকর টুইট: পুলিশি হেফাজতে তৃণমূল মুখপাত্র

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামে আপত্তিকর টুইট করার অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে দুইদিনের পুলিশি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।
আগের দিন গত সোমবার গভীর রাতে রাজস্থানের জয়পুর বিমানবন্দর থেকে সাকেতকে গ্রেপ্তার করেছিলো গুজরাট পুলিশ। এ দিন বিকেলে রাজধানী আহমদাবাদের একটি বিজ্ঞ আদালতে তাকে হাজির করে হেফাজতের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ০৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত হেফাজত মঞ্জুর করেন বিজ্ঞ আদালত।
পশ্চিমবঙ্গের দৈনিক আনন্দবাজারসহ একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামে ‘আপত্তিকর’ টুইট করার অভিযোগেই গুজরাট পুলিশ গ্রেফতার করেছে সাকেতকে। যে টুইটের জন্য সাকেতকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব, সেটি গত ১ ডিসেম্বর নিজের টুইটার হ্যান্ডল থেকে টুইট করেছিলেন সাকেত।’
টুইটবার্তায় সাকেত গোখলে লিখেছিলেন, ‘গুজরাটে মোরবি সেতু ভাঙার পর সেখানে মোদি পরিদর্শনের জন্য ৩০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে, যার মধ্যে সাড়ে ৫ কোটি খরচ হয়েছে শুধু মাত্র মোদি অভ্যর্থনা জানানোর অনুষ্ঠান এবং ছবি তোলার জন্য। অথচ মোরবী সেতু ভেঙে মৃত ১৩৫ জনকে মোট এককালীন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে মাত্র ৫ কোটি টাকা।’
‘শুধু মোদিকে স্বাগত জানানোর অনুষ্ঠানের দাম ১৩৫ জনের জীবনের থেকে বেশি!’ টুইটবার্তায় লিখেছিলেন সাকেত গোখলে।
সম্প্রতি, ওই টুইটটিকে ভুয়ো বলে দাবি করে একটি পাল্টা টুইট করেছিলো পিআইবি ফ্যাক্ট চেক নামে টুইটারের একটি ব্লু টিক দেওয়া ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট।
এর আগে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর মোদীর জন্মদিনে আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে চিতাবাঘ আনানো নিয়েও একটি টুইট করেছিলেন সাকেত গোখলে। আরটিআই (তথ্য জানার অধিকার আইন)-এর মাধ্যমে পাওয়া তথ্য ও একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে সাকেত গোখলে লিখেছিলেন, ‘চিতা-চুক্তির বিনিময়ে হাতির দাঁতের ব্যবসার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্র।’
তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ: রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পূরণ করতেই মোদি-রাজ্য বলে পরিচিত গুজরাটের পুলিশ গ্রেফতার করেছে সাকেত গোখলেকে। গুজরাট পুলিশের আইনজীবী আদালতে ৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার জানান, ধৃত তৃণমূল মুখপাত্র ভুয়া টুইট করেছেন। তাই তাকে (সাকেত গোখলে) জেরার জন্য হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, সাকেত গোখলে তার টুইটের সাথে তথ্যের অধিকার আইনে (আরটিআই) করা একটি প্রশ্ন ও তার উত্তরের ক্লিপিংস দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ আছে। গত ১ ডিসেম্বর প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি) তার টুইটবার্তা যাচাই করে জানিয়েছিলো, ‘ওই ক্লিপিংস ভুয়া।’
comment / reply_from
related_post
Popular Posts
newsletter
newsletter_description