‘মাহমুদ উল্লাহ রান করার চেয়ে টিকে থাকায় বেশি মনোযোগী ছিল’: ডমিঙ্গো

ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১ উইকেটে রুদ্ধশ্বাস জয় পেয়েছে বাংলাদেশ দল। মূলত মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় এ ম্যাচটা এত জটিল হয়ে গিয়েছিলো। তবে, অভিযোগের তীর মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদের জুটির দিকে। অবিশ্বাস্য ধীরগতির ব্যাটিং করছিলেন দুইজন।
আউট হওয়ার আগে দু’জনের জুটিতে এসেছে ৬৯ বলে মাত্র ৩৩ রান! আর দ্বিতীয় ম্যাচের আগে মাহমুদ উল্লাহর খেলার ধরন নিয়ে মুখ খুললেন প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
ব্যক্তিগত জীবনে ভায়রা-ভাই মুশফিক ও মাহমুদ উল্লাহ যখন উইকেটে আসেন, তখন ২৭ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল মাত্র ৯১ রান! এই টার্গেটটাই কঠিন করে ফেললেন দুজনে। প্রথম ওয়ানডেতে মুশফিকুর রহিম ৪৫ বলে ১৮ এবং মাহমুদ উল্লাহ ৩৫ বলে ১৪ রানের মন্থর গতির ইনিংস খেলেন। দু’জনের কেউই একটা বাউন্ডারি মারতে পারেননি। মাহমুদ উল্লাহর স্ট্রাইক রেটে দীর্ঘদিন যাবৎ দৈন্যদশা চলছে। গত ২০১৯ বিশ্বকাপের পরে থেকে ওয়ানডেতে ৮০৬ রান করা মাহমুদ উল্লাহর স্ট্রাইক রেট মাত্র ৭৪.০৮!
রাসেল ডমিঙ্গো আজ মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) ম্যাচপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘স্রেফ বাউন্ডারি মারার ব্যাপার নয় এটি, ব্যাপারটি হলো তাড়নার। আমার মনে হয়, প্রথম ম্যাচে তার তাড়না কমে গিয়েছিল। কারণ রান করার চেয়ে টিকে থাকায় তার মনোযোগ ছিল বেশি। এ জন্যই লেগ স্টাম্পের ওপর ওই হাফ ভলি সে মিস করেছে। রানের খোঁজে থাকলে হয়তো ওই শটে সে চার মারত কিংবা দুই নিত। নেট সেশনে তাই নিশ্চিত করছিলাম যে স্রেফ উইকেট আঁকড়ে রাখার চেয়ে যেন আমরা ইতিবাচকতার রুটিনে ও ছন্দে ফিরতে পারি।’
একটা সময় বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের মাহমুদ উল্লাহ বড় ভরসা ছিলেন। অনেক ম্যাচ যেমন জিতিয়েছেন তিনি, আবার অনেক ম্যাচ হারিয়েও দিয়েছেন তিনি। তবুও তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম নায়ক। তাই, তার ওপর এখনই ভরসা হারাচ্ছেন না ডমিঙ্গো, ‘জিম্বাবুয়েতে শেষ দুই ম্যাচে ৮০ ও ৩৯ রান করেছে মাহমুদ উল্লাহ। এক ম্যাচ আগেও ৮০ রান করেছে। এই মুহূর্তে তাকে নিয়ে আমার কোনো দুর্ভাবনা নেই। ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়ে সবার ক্ষেত্রেই এমন সময় আসে। তার ব্যাটিং ও সামর্থ্যের ওপর এখনো আমার পূর্ণ আস্থা আছে।’
comment / reply_from
related_post
Popular Posts
newsletter
newsletter_description